দুগাপুর উপজেলার পটভূমিঃ বৃটিশ আমল থেকে দুর্গাপুর থানা হিসেবে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ১৯৮৪ খ্রিঃ মান উন্নিত থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং প্রথম পর্যায়েই উপজেলায় রুপান্তরিত করা হয়। এ উপজেলায় ০৭ টি ইউনিয়ন ও ০১ টি পৌরসভা বিদ্যমান রয়েছে। এ উপজেলার উত্তরে ভারত সীমান্ত, দক্ষিণে পূর্বধলা ও নেত্রকোণা সদর উপজেলা, পূর্বে কলমাকান্দা ও পশ্চিমে ধুবাউড়া উপজেলা।
দুর্গাপুর উপজেলাটি সূসং দুর্গাপুরও বলা হয়। এখানে বৃটিশ আমলে সূসং মহারাজার কার্যক্রম ছিল। ১৯৫০ খ্রিঃ জমিদারী উচ্ছেদ ও প্রজাস্বত্ব আইন প্রবর্তনের পর সুসং জমিদারী প্রথার বিলুপ্ত ঘটে। কালের স্বাক্ষী হিসেবে এখনও সুসং রাজবাড়ী সমূহ বিদ্যমান রয়েছে। এখানে তেভাগা আন্দোলন, টংক আন্দোলন, হাতীখেদা আন্দোলন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের আন্দোলন হয়। টংক আন্দোলনের মহানায়ক কমরেড মনিসিংহ জন্ম এ উপজেলাতেই।
এ উপজেলার অধিকাংশই লোক বহু বছর পূর্বে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে বসবাস করতে শুরু করেছে। ফলে বিভিন্ন লোক কোন এলাকাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে বলতে থাকলে এক পর্যায়ে একটি নামে নামাকরণ হয়ে থাকে। তেমনি এ উপজেলার নামাকরণ নিয়েও বিভিন্ন জনশ্রুতি রয়েছ। এর মধ্যে একটি হলো -অনেকে মনে করেন, সোমেশ্বরী নদীর পূর্ব তীরে যে রাজবাড়ী স্থাপিত হয়েছিল সে স্থানটির নাম অধিষ্ঠাত্রী দেবী দশভূজার নামানুসারে দুর্গাপুর রাখা হয়।
অন্য জনশ্রুতিটি হলো-দুর্গাপুর উপজেলাটিতে গারো হাজং এর বসবাস ছিল। যে স্থানে সূসং মহারাজের রাজবাড়ী স্থাপিত হয় সে স্থানটি ছিল দুর্গা নামে এক গারো ব্যক্তির দখলে। দুর্গা গারো অনুরোধে তার নামানুসাএর এ স্থানের নামাকরণ করা হয় দুর্গাপুর।
যেভাবেই নামা করণ করা হোকনা কেন দুর্গাপুরের রয়েছে আদি ঐতিহ্য। রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত সীমান্তের পাহাড়, রয়েছে সমূদ্র সৈকত সাদৃশ্য সোমেশ্বরী নদীর সিলিকন সমৃদ্ধ চর/বেলা ভূমি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS